সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৫:৫২ অপরাহ্ন

কিছু হলেই অ্যান্টিবায়োটিক খান?

কিছু হলেই অ্যান্টিবায়োটিক খান?

স্বদেশ ডেস্ক: সামান্য জ্বর, সর্দি-কাশি কিংবা পেটের গোলমাল হলেই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক খেতে শুরু করেন দেশের অধিকাংশ মানুষ। তারা জানেন না কোনো মাত্রা, জানেন না নির্দিষ্ট কোর্স। তাছাড়া দেশের চিকিৎসাব্যবস্থা ব্যয়বহুল হওয়ায় সিংহভাগ মানুষই সামান্য সমস্যায় চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কথা ভাবতে পারেন না। নিজে নিজেই ডাক্তারি করে পাশের ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে খাওয়া শুরু হয়। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, এই প্রবণতাই ঠেলে দিচ্ছে অসুখের দিকে।

অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার নিয়ে গবেষণার পর শিউরে উঠেছেন বিজ্ঞানীরা। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সুবর্ণ গোস্বামীর মতে, ‘এই অকারণ ও অত্যধিক অ্যান্টিবায়োটিকের কারণে মেদ তো বাড়ছেই, তার সঙ্গে শরীরে সুপারবাগসের উপস্থিতি সমস্যায় ফেলছে রোগী ও চিকিৎসককে। যখন-তখন ইচ্ছে মতো অ্যান্টিবায়োটিক নিতে নিতে শরীরে তৈরি হচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স বা অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর)। এটাই ডেকে আনছে আগামী দিনের গুরুতর বিপদ।’

ঘন ঘন কোনও অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহারে শরীর নিজের মধ্যেই সেই অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে এক প্রতিরোধ তৈরি করে। ফলে দিনের পর দিন সেই ওষুধ নেওয়ার ফলে একটা সময়ের পর তা আর শরীরে কাজ করে না। কারণ ততদিনে শরীরে উপস্থিত ব্যাকটিরিয়া ওষুধের সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকার ক্ষমতা অর্জন করে ফেলে। তারা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠে। অতিরিক্ত ক্ষমতাসম্পন্ন সেই জীবাণুদেরই চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় বলে সুপারবাগস।’

চিকিৎসকদের আশঙ্কা, সতর্ক না হলে এমন একটা সময় আসবে যখন অধিকাংশ সুপারবাগের সঙ্গে লড়ার মতো কোনো ওষুধ পাওয়া যাবে না। ফলে বহু রোগের চিকিৎসা মিলবে না। বর্তমানে পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, সাধারণ ভাইরাল ফিভারও সহজে ভালো হচ্ছে না! কিছু অসুখের চিকিৎসা করতে গেলে ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স পরীক্ষা করতে হয়। তাতে দেখা যাচ্ছে বাতিল অ্যান্টিবায়োটিকের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। তাই বিজ্ঞানীদের পরামর্শ, কথায় কথায় অ্যান্টিবায়োটিক না খেয়ে পুষ্টিকর খাবার, পরিমিত ব্যায়াম করে ও নিয়ম মেনে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ান।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877